আখরোট বাদাম 1kg
1,400৳ Original price was: 1,400৳ .1,250৳ Current price is: 1,250৳ .
আখরোট। ‘হেলদি ফ্যাট’ থেকে খনিজ, ভিটামিনে ভরপুর আখরোট কিন্তু অন্যান্য বাদাম ও ড্রাই ফ্রুটকে বলে বলে ১০ গোল দিত পারে
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়
আখরোটে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে।হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখে
আখরোটে হেলদি ফ্যাট ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। যা খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।হজম ক্ষমতা বাড়ায়
আখরোটে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা বেশ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে হজমে সহায়ক হয়ে ওঠে। পাশাপাশি পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যাও দূর রাখে।
ত্বক ভাল রাখে আখরোটে থাকা ভিটামিন বি ফাইভ, বি ই ত্বক ভাল রাখে। ত্বকের শুষ্কতা কমায়, জেল্লা বাড়ায়।
চুল মজবুত করে
আখরোটে থাকা বি সেভেন চুলের গোড়া মজবুত করে। ফলে চুল পড়ার সমস্যা কমে। পাশাপাশি চুল ঘন করতে ও চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে আখরোট বিশেষ কার্যকর।
এক গ্লাস জলে একটা আখরোট সারা রাত রেখে দিয়ে সকালে সেই জল ফেলে দিতে হবে। ভেজানো আখরোট একটা করে খেলেই শরীর ভাল থাকবে।
আখরোট অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ বাদাম। প্রতি ১০০ গ্রাম আখরোটে ১৫.২ গ্রাম প্রোটিন, ৬৫.২ গ্রাম স্নেহ পদার্থ এবং ৬.৭ গ্রাম ফাইবার থাকে। এছাড়া ভিটামিন থাকে ২০ IU, ক্যালসিয়াম ৯৮ মি.গ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১৫৮ মিগ্রা, পটাসিয়াম ৪৪১ মিগ্রা, জিংক ৩.০৯ মিগ্রা। এর প্রোটিনের মধ্যে অনেকগুলো অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে।
২. আখরোট হৃদযন্ত্র ভালো রাখে: আখরোটে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের জন্য উপকারী। প্রতিদিন কয়েকটি করে আখরোট খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল হ্রাস করে এবং ভালো কোলেস্টেরলের বাড়াতে সাহায্য করে।
৩. আখরোট ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে: আখরোটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে, যা সুস্থ ত্বকের জন্য বিশেষ উপযোগী। ত্বকের বলিরেখা কমাতে এবং বয়সের ছাপ দূর করতে প্রতিদিন আখরোট খাওয়া প্রয়োজন।
৪. আখরোট গর্ভস্থ শিশুর জন্য উপকারি: আখরোট মাতৃগর্ভে থাকা শিশুর জন্য অনেক উপকারি। গর্ভবতী মায়েরা আখরোট খেলে এতে থাকা পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড গর্ভের শিশুর এলার্জির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
৫. আখরোট ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে: চিকিৎসকরা বলেন যে, যে-কেনও ধরণের বাদামই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে বিশেষত যাঁরা নিয়মিত আখরোট খান তাঁদের টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় অনেকটাই কম হয়।
৬. আখরোট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: আখরোটে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, পলিফেনলস এবং ইউরোলিথিন অ্যান্টি-ক্যান্সার বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ। তাই স্তন, কোলন এবং প্রোস্টেট রোধে বড় ভূমিকা রাখে আখরোট। আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্যান্সার রিসার্চ জানিয়েছে আখরোট খেলে তা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
৭. আখরোট মানসিক চাপ কমায়: আখরোটে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি থাকে, যা চামড়াকে বুড়িয়ে যেতে বাধা দেয়। বলা হয় ভিটামিন বি হল স্ট্রেস রিলিভার ও মুড ম্যানেজার। স্ট্রেস কম থাকলে ত্বকের চামড়া উজ্জ্বল হয়। ভিটামিন বি-এর সঙ্গে ভিটামিন ই মিশে তা শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে।
৮. আখরোট শিশুর মস্তিস্কের বিকাশ করে: শিশুর মস্তিস্কের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে- একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে আখরোটে থাকা ভিটামিন ই, মোলাটোন, ওমেগা ৩, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে বিশেষভাবে সাহায্য করে। তাই ছোটবেলা থেকেই আপনার শিশুকে আখরোট খাওয়ানো অভ্যাস করুন।
৯. আখরোট হাড় মজবুত করে: আখরোটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। এটি শরীরের হাড় মজবুত করতে খুবই উপকারি। ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা না থাকলে ৩০ এর বেশি বয়সী মহিলাদের জন্য হাড় মজবুত রাখতে এটি অনেক উপকারি।
১০. আখরোটে ভালো ঘুম হয়: এ ছাড়াও পটাশিয়াম, জিঙ্ক, ক্যালশিয়াম, আয়রনে ঠাসা আখরোট হজনশক্তিকে বাড়িয়ে দিতে সুবিধা করে দেয়। আর উন্নত হজমশক্তি ভালো ঘুমে সাহায্য করে। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আখরোট খেলে ভালো ঘুম হয়।
আখরোটের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া
যেকোনো খাবারই প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়। নয়তো শরীরে পুষ্টি উপাদানগুলোর ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। তাই অন্যান্য খাবারের মতোই আখরোটও পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত, বেশি পরিমাণে আখরোট খেলে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন-
অ্যালার্জি হতে পারে।
লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কালো আখরোটে থাকা ফাইটেটস শরীরের আয়রন শুষে নেয়। ফলে বেশি পরিমাণে কালো আখরোট খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা যেতে পারে।
যাদের বাদামে এলার্জি থাকে তাদের আখরোটেও এলার্জির সমস্যা হতে পারে।
আখরোট খাওয়ার নিয়ম
আখরোট খাওয়ার সাধারণত কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। যেকোন সময় যেকোনোভাবে খাওয়া যেতে পারে এটি।
তবে বিশেষজ্ঞরা আখরোট পানিতে ৫-৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে খাওয়ার পরামর্শ দেন। এ নিয়মে খেলে সঠিক পরিমাণে পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়।
এছাড়া দুধ বা মধুর সাথে মিশিয়ে খেলেও এর পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়।
অনেকে আবার তেল ছাড়া হালকা ভেজে খেয়ে থাকেন সন্ধ্যার নাস্তা হিসেবে।
Reviews
There are no reviews yet.